প্রতি বছর ফ্যাশন হাউজগুলো শিশুদের পোশাকে বৈচিত্র নিয়ে আসে। নিত্যনতুন ডিজাইন করা হয় শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য। ঈদ উপলক্ষে দেশে পোশাক বেচাকেনায় একটি হিড়িক তৈরি হয়। সবাই ঈদকেন্দ্রিক নতুন জামা-কাপড় চায়।
পরিবারে শিশুদের পোশাক কেনা হয় সবার আগে। ঈদের আগে আগে রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও শো-রুমে দেখা গেছে, দেশীয় ফ্যাশন হাউসের পাশাপাশি ব্র্যান্ড শপগুলোতে শিশুদের পোশাকেও বর্ণিল ডিজাইন।
বিক্রয়কর্মীরা জানান, এখন আবহাওয়া গরম। এ জন্য ফ্যাশন হাউজগুলো সুতি পোশাককেই প্রাধান্য দিয়েছে। পাশাপাশি তাঁত, হ্যান্ডলুম, মসলিন, লিনেন ও খাদির ব্যবহারও বেড়েছে।
এ ছাড়া সিল্ক, কাতান, ভিসকস, অরগাঞ্জা, সাটিন, টিস্যু, গ্লিটারি কাপড়, ডেনিম বা জর্জেটের মতো কৃত্রিম তন্তু ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে বাহারি ডিজাইনের পোশাক। এসব পোশাক যেন গরমেও স্বস্তিদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
সুতি ছাড়াও সিল্ক, ধুপিয়ান, ডেনিম, লিনেন, জর্জেট বা অরগেঞ্জা কাপড়ের স্কার্টে বড় বড় ফুলের ছাপা প্রায় সব ফ্যাশন হাউসেই দেখা গেছে। দোকানভেদে এসব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬/৭ হাজার টাকায়।
ছোট মেয়েদের জন্য রয়েছে কাঁচা বাদাম ফ্রক। সাদা, কালো, নীল সুতি কাপড়ের উপর হাল্কা কাজ করা হয়েছে এসব ফ্রকে। তবে মেয়েদের কাঁচা বাদাম থ্রিপিস যেমন আকর্ষণীয়, ছেলে শিশুদের বেলায় তেমনটা দেখা যায়নি।
ছেলেশিশুদের পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে পাতলা খাদি কাপড়ের আধিক্য দেখা গেছে। আড়ং, ইজি, অঞ্জনস, কে-ক্রাফটে দেখা গেছে, পাঞ্জাবি জুড়ে এমব্রয়ডারি ছাড়াও নতুনত্ব আনতে বুকের এক পাশে অল্প করে কাজ করা হয়েছে। রয়েছে গলায় ও হাতের কাছেও কাজ। কিছু কিছু পাঞ্জাবিতে পুরো বুক জুড়ে হাতের কাজ চোখে পড়ার মতো।
ছেলেশিশুদের জন্য ছোট হাতার ক্যাজুয়াল শার্ট, ফতুয়া, গেঞ্জি, ক্যাজুলায় গেঞ্জি আনা হয়েছে। ফুলের প্রিন্ট, ছোট ছোট ব্লক, গাড়ি, ছোট ছোট কার্টুন এঁকে এসব পোশাক করা হয়েছে আকর্ষণীয়। প্যান্টের মধ্যে এক রঙের প্যান্টের পাশাপাশি আছে ব্লিচ করা ডেনিমের প্যান্ট।
তবে অন্যান্যবারের তুলনায় পোশাকের দাম বেশি বলে জানান ক্রেতারা।