গত ৪ জুলাই ২০২২ বগুড়া জেলার শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী কানিজ ফাতেমা কাশমি (১৪) অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল খারাপ করায় তার মায়ের বকুনির জন্য অভিমানে আত্বহত্যা করে। সে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, পদার্থ ও জীব বিজ্ঞানের সৃজনশীল পরীক্ষায় ফেল করে। কানিজ ফাতেমা কাশমি যে বাড়িতে ভাড়া থাকতো সে বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, কাশমি খুব ভালো মেয়ে ছিলো । তার মা ও বাবা তাকে খুব আদর করত। কাশমির আত্বহত্যা বিষয়ে স্কুল বা শিক্ষা বিভাগ কোন মন্তব্য করেনি। কোভিড প্যানডেমিক এর কারণে শিশু কিশোরদের মধ্যে হতাশা ও আত্বহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। কোভিড এর কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো দীর্ঘদিন। পাবলিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অটোপাশ দেয়া হয়। কিন্তু নবম শ্রেণীর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় কেন একজন ছাত্রীকে ফেল করানো হলো এবং তাকে আত্বহত্যায় প্ররোচিত করা হলো তানিয়ে তেমন কোন আলোচনা হয়নি। অনেক দেশে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা শিথিল করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষা কোন প্রতিযোগিতা নয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত বিশ্বের সাথে সময় উপযোগী করার কথা বলেছেন। তাহলে কাশমিকে কেন আত্বহননের পথে ঠেলে দেয়া হলো? শিক্ষা বিভাগ কি এর কোন দায় নিবেনা?
#শিশুদের #আত্বহত্যা #শিক্ষাব্যবস্থা #দায় #শিক্ষাবিভাগ #শিক্ষামন্ত্রণালয় #শিশুশিক্ষা #কোভিড