ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবারের দুর্গাপূজার মূল আকর্ষণ হয়ে ওঠে উত্তর কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পূজামণ্ডপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে নির্মিত বিশ্বের সর্বোচ্চ অট্টালিকা বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি করা হয় সেটি।
কিন্তু কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করায় সেই পূজামণ্ডপের বর্ণিল আলোকসজ্জা নিভিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। বিমানবন্দর এলাকায় লেজার রশ্মি ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও কাছাকাছি এলাকায় স্থাপিত এ পূজামণ্ডপে সে নির্দেশনা মানা হচ্ছিল না। পরে পাইলটরা বেকে বসলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলো নিভিয়ে দিতে বাধ্য হয় পূজা কমিটি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্ণিল ওই পূজামণ্ডপ দেখার জন্য সেখানে ভিড় জমাচ্ছিল মানুষ। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে শ্রীভূমির তৈরি বুর্জ খলিফা পূজামণ্ডপের দূরত্ব মাত্র সাড়ে আট কিলোমিটার। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আগেই বলা ছিল, বিমানবন্দর এলাকায় লেজার রশ্মি ব্যবহার ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ। তবে তা অমান্য করেই বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি পূজামণ্ডপকে লেজার রশ্মিতে বর্ণিল করে গড়ে তোলা হয়।
এরপর গত সোমবার (১১ অক্টোবর) রাতে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে আলাদা করে তিন এয়ারলাইন্সের পাইলটরা অভিযোগ করেন। তারা জানান, লেজার রশ্মির বিকিরণে তাদের বিমান চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। সে অভিযোগ চলে যায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে।
শেষ পর্যন্ত তাদের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় বুর্জ খলিফার লেজারের রশ্মি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সল্ট লেক পুলিশ কর্মকর্তারা মণ্ডপ এলাকায় গিয়ে লেজার রশ্মি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পরে পূজা কমিটি নিভিয়ে দেয় মণ্ডপের আলো।