ফেসবুক সামনে মেলে ধরলেই কেবল আহাজারি, পক্ষে বিপক্ষে লেখা লেখি। কাদা ছোঁড়াছুড়ি। এসব ছাপিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যার কাজ করার কথা সে নিরবে নিভৃতে করে যাচ্ছে। দিনাজপুরের কৃষক মোহাম্মদ আলী নিবিষ্টচিত্তে চাষ করে যাচ্ছেন। যোগান দিচ্ছেন শহরের মানুষের খাবার। যদিও পাচ্ছেন না ফসলের ন্যায্য মূল্য। সিঙ্গাপুরে যে নির্মাণ শ্রমিক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আয় করছে ২০-৩০ হাজার টাকা, সেটা পাঠিয়ে দিচ্ছে দেশে। আমরা যাদের সম্মানীত করে নাম দিয়েছি রেমিটেন্স যোদ্ধা।
গাজীপুরে বিরামহীন সেলাই মেশিনের চাঁকা ঘোরাচ্ছে যে পোষাক শ্রমিক সে তার কর্ষ্টাজিত স্বল্প বেতন থেকে বাচাঁনো টাকা প্রতিমাসে পাঠাচ্ছে অসুস্থ বাবার চিকিৎসার জন্য। এরই নাম বাংলাদেশ।
আপনি যখন তসলিমা নিয়ে মশগুল, মুখরোচক আলোচনায় ঝড় তুলছেন ফেসবুকে তখন লক্ষীপুরের চরাঞ্চলের তৃতীয় শ্রেণীর ছোট্টমেয়ে ময়না স্বপ্ন দেখছে জীবন গড়ার।
আপনি কি জানেন? নারীর ক্ষমতায়নে এশিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয়।
২০১৭-১৮ সালের অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের ২৮ শতাংশ নারী উন্নয়নে বরাদ্দ ছিল, ২০১৮-১৯ সালে তা ২৯.৬৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়। বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে নারী শিক্ষার্থীর হার ৯৯.৪ শতাংশ। সরকার বিনামূল্যে ৬-১০ বছর বয়সী সব শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে। মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয় এবং স্কুলে যেতে উৎসাহিত করতে মেয়েদের দেওয়া হয় বৃত্তি। সম্প্রতি সরকার ঘোষণা দিয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করা হবে এবং শিক্ষার্থীরা এককালীন ২০০ টাকা পাবে স্কুলের পোশাক তৈরি করার জন্য।
নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে কোনও জামানত ছাড়াই সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা এসএমই ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আবার নারী উদ্যোক্তারা বাংলাদেশ ব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ১০ শতাংশ সুদে ঋণও নিতে পারছেন। বর্তমানে ৩০ লাখেরও বেশি নারী শ্রমিক পোশাক শিল্পে কর্মরত আছেন। সরকারের সপ্তম পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৬-২০২০) অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের অঙ্গীকার করা হয়েছে।
এছাড়া ব্যবসায়ে সমান সুযোগ তৈরি করার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে জাতীয় নারী নীতি গ্রহণ করা হয়। দুস্থ, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য বর্তমান সরকারের বহুমুখী প্রকল্প চালু আছে; এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ভিজিএফ, ভিজিডি, দুস্থ ভাতা, মাতৃত্বকালীন ও গর্ভবতী মায়েদের ভাতা, অক্ষম মা ও তালাকপ্রাপ্তদের জন্য ভাতা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি, আমার বাড়ি-আমার খামার ইত্যাদি। এছাড়া কর্মজীবনে নারীদের অংশগ্রহণকে সহজ করার লক্ষ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটি ৪ মাস থেকে ৬ মাসে উন্নীত করা হয়েছে। প্রান্তিক নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য খোলা হয়েছে গ্রামভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকের; মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিমের আওতায় গর্ভধারণ থেকে প্রসবকালীন সব খরচ, এমনকি যাতায়াত খরচও এখন সরকার বহন করে। যার ফলে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুহার এখন প্রতি লাখে ১৭০ জন।
এছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, সেনা, নৌ, পুলিশ, বিজিবি, সাহিত্য, শিল্পসহ সর্বোচ্চ বিচারিক কাজেও নারীদের অংশগ্রহণ ও সাফল্য এখন লক্ষণীয়।
আমাদের নারীরা খেলাধুলায়ও পিছিয়ে নেই। প্রথম নারী উপাচার্য, প্রথম নারী পর্বতারোহী, প্রথম বিজিএমইএ নারী সভাপতি, প্রথম সংখ্যালঘু নারী মেজর, প্রথম নারী স্পিকার, প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিগত এক দশকেই সৃষ্টি হয়েছে। বলাবাহুল্য, নারীদের এই অভূতপূর্ব ক্ষমতায়নে অংশগ্রহণের সুযোগ ও অনুপ্রেরণার যিনি প্রথম ভাগীদার, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সব আন্দোলন, সংগ্রাম ও দেশ গঠনে আমাদের নারীদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তাই রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণকে সুসংহত করার জন্য জাতীয় সংসদে নারী আসনের সংখ্যা আরও পাঁচটি বাড়িয়ে ৫০টিতে উন্নীত করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক নারীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ১২ হাজারের বেশি নারী জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়েছে। বর্তমান সংসদে নারী সদস্য আছেন ৭২ জন এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী, স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রীসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের আসীন করা হয়েছে এবং তারা দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
নারীর প্রতি সব ধরনের সহিসংতা রোধে ২০১২ সালে প্রণয়ন করা হয় পারিবারিক সহিংসতা দমন ও নিরাপত্তা আইন ২০১২। নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রণয়ন করা হয় মানবপাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১। বাল্যবিবাহ নিরোধ করে মেয়ে শিশুদের সমাজে অগ্রগামী করার জন্য বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া মেয়েশিশুদের নিরাপত্তায় শিশু আইন ২০১৩ প্রণীত হয়েছে। হিন্দু নারীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার্থে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন ২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং ৭টি বিভাগে One stop crisis center খোলা হয়েছে।
ধর্ষণের আলামত সংগ্রহে ও পরীক্ষায় কিছু দিন আগেও Two finger test করা হতো, যা ধর্ষিতা নারীর প্রতি ছিল বৈষ্যমূলক ও অবমাননাকর। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই তা বাতিল করা হয়েছে। আশা করা যায় এরই ধারাবাহিকতায় অচিরেই Evidence Act 1872-এর ১৫৫ ধারা, যা ধর্ষিতা নারীর চরিত্র ও জীবনধারা নিয়ে প্রশ্ন করার এখতিয়ার প্রদান করে, সেই বৈষম্যমূলক, অমানবিক এবং নারীর প্রতি চরম অপমানসূচক ধারাটিকে শিগগিরই বাতিল করা হবে। এটি না হলে ধর্ষিতা নারীরা বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে আগ্রহী হবে না এবং নারীর প্রতি বৈষম্য দূর ও নিশ্চিত হবে না।
সম্পত্তির উত্তরাধিকারে নারী পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করা যায় এর আলোকে সংবিধানের ২৮(২) নং অনুচ্ছেদে যেখানে বলা হয়েছে ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন’, তা সংশোধন করে ‘রাষ্ট্র, গণজীবন এবং পারিবারিক জীবনে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন’ এই প্রত্যয় আমাদের মহান সংবিধানে সংযোজন করা হবে। পারিবারিক পরিমণ্ডলে নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করা না গেলে নারীকে পূর্ণভাবে স্বাবলম্বী করা বা সামাজিক ও গণজীবনে নারীর শতভাগ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা বাধাগ্রস্ত হবে।
নারী-পুরুষের সমতা অনুধাবনের অন্যতম মাপকাঠি হচ্ছে রাজনৈতিক ক্ষমতায় নারী-পুরুষের আনুপাতিক অবস্থান। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারীর অংশগ্রহণের বিষয় বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে অষ্টম। আবার ১৩৬টি দেশের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম, যা গত ১০ বছরে এগিয়েছে ১১ ধাপ (Global Gender Group Report 2013, World Economic Forum)।
নারীরা তাদের মেধা, শ্রম, সাহসিকতা, শিক্ষা ও নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের দেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন এবং একই সঙ্গে ভূমিকা রাখছেন একটি স্বাবলম্বী শিক্ষিত প্রজন্ম গঠনে। নানা অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে যে অভাবনীয় আর্থিক সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও প্রবৃব্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে, তা মূলত নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতির জন্যই, আর এক্ষেত্রে যার অবদান অনস্বীকার্য, তিনি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ, প্ল্যানেট ফিফটি ফিফটি চ্যাম্পিয়ন, এজেন্ট অব চেঞ্জসহ নানাবিধ সম্মাননা অর্জন করেছেন। তার সব অর্জন বাংলাদেশের নারীদের যেমন গর্বিত করে, তেমনি আশার আলো দেখায় পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বৈষম্যহীন-সম্মানজনক অবস্থানে উন্নীত হয়ে দেশ গঠনে অংশগ্রহণে।
আপনি যে চায়ের কাঁপে যে ঝড় তুলছেন! প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়নে আপনার কী অবদান? আপনার অহেতুক আলোচনার উত্তেজনা অর্থনীতিতে, উন্নয়নে কি ভূমিকা রাখছে, আপনি কখনো চিন্তা করেছেন?
তরুণ উদ্যোক্তা কায়সার জামিল, যে দিনরাত এককরে লড়াই করে যাচ্ছে তার ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য। বেতন যোগান দিচ্ছে ৭-৮ জন কর্মীর। এরা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রাণ। এদের জন্য দরকার একটু সহায়তা, সহযোগিতা, ভালবাসা ও সহমর্মিতা।
মোদীর আগমনের পক্ষে বিপক্ষে যখন আপনি গরম করছেন আলোচনার টেবিল, তখন কাজের অভাবে গালে হাত দিয়ে বসে আছে কমলাপুর বস্তির সুরুজ মিয়া।
বিশ্বে বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে মাশরাফি, সাকিব আল হাসানদের অবদান অনস্বীকার্য । হ্যাঁ একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মানুষের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করা জরুরী কিন্তু ফেসবুকে একব্যাক্তির পোস্টের কমেন্ট বক্সে আপনার একটি হটকারি মন্তব্য হতে পারে সমাজের জন্য নেতিবাচক, প্রভাব পড়তে পারে সমাজের আরও ১০ জনের উপর।
বাংলাদেশে প্রাচুর্য যেমন আছে, আছে হত দারিদ্র্য অবস্থা৷ তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লড়াইটা জারি আছে৷ আর পেছনে টানার নানা উপাদান সক্রিয় থাকলেও তা পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ৷
আপনারা যাই বলুন না কেন দেশ কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে। কতটা এগিয়ে গেছে দেশ দেখুন-
২০৩০ সালের ভারত ও চীনের চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৬তম অর্থনীতির দেশ৷ আইএমএফ বলছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির গতিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল৷ বিশ্বের ১১টি দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশের দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ৷
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হারে৷ এর পরের পাঁচ বছর ২০২৩ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ হারে৷ আগামী এক যুগ বাংলাদেশে গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ১ শতাংশ হারে৷ আর বাংলাদেশের এই প্রবৃদ্ধির হার বিশ্বের সব দেশের প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি হবে৷
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসেব অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২২ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা বা ২৭০ বিলিয়ন ডলার৷ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ হারে৷ চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে৷
২০৩০ সালের বিশ্ব: ৭৫টি দেশের জন্য এইচএসবিসির প্রক্ষেপণ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেশগুলোর জনশক্তির আকার, মানবসম্পদ উন্নন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, রাজনীতি, বাজার ও প্রযুক্তির ব্যবহারকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে৷ এরসঙ্গে দেশগুলোর মাথাপিছু জিডিপি, কর্মক্ষম জনশক্তি, মোবাইল ফোন ব্যবহার, স্কুলে অন্তর্ভূক্তি, মানব উন্নয়ন সূচক, রাজনৈতিক অধিকার ও বাণিজ্য উদারীকরণ পরিস্থিতি বিবেচনা করা হয়েছে৷
বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭৫১ ডলার৷ বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে শিল্প খাতে সবচেয়ে বেশি ১২ দশমিক ০৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে৷ কৃষি খাতে ৪ দশমিক ১৯ আর সেবা খাতে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে৷
জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগ এখন ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ৷ এর মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগ ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ৷ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপির অনুপাতে বেসরকারি বিনিয়োগ ছিল ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ৷ এ ছাড়া গত অর্থবছরে জিডিপির অনুপাতে সরকারি বিনিয়োগ ৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ৷ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এর অংশ ছিল ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ৷
বিবিএস-এর তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ২০০৯ সালে ৫ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করতেন৷ তাঁদের মধ্যে প্রায় তিন কোটি মানুষ ছিলেন চরম দরিদ্র অবস্থায়৷ এখন দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করেন পৌনে চার কোটি মানুষ৷ আর চরম দারিদ্র্যে আছেন দেড় কোটির কিছু বেশি মানুষ৷ এই সময়ে জন্মহার ছিল ১ দশমিক ১৬ শতাংশ৷
এই করোনার মহামারিতে দেশের উন্নয়নের গতি সচল রাখছে যারা- তাদের কথা চিন্তা করেছেন? কিছু লোক আছে যারা দিনাজপুরের বাতাবি লেবুর ফলন নিয়ে ব্যস্ত এবং সুসংবাদ প্রকাশ করছেন, আর তাতেই উনার আগ্রহ। অপ্রাসঙ্গিকভাবে সেটা বলতেই থাকেন।
আরেকপক্ষ আছে তাদের কথা বলা দেখলে বুঝা যাচ্ছে এই বুঝি দেশে ঘূর্ণিঝড় বা ভূমিকম্প শুরু হলো। এভাবে আসলে দেশ চলে না। দেশের উন্নয়নে একটি জনগোষ্ঠির সামগ্রিক প্রচেষ্ঠার ফলে একটি সমাজ বির্নিমাণ হয়।
নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আপনাদের লেখা দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ, এগিয়ে যান।
আপনার অহেতুক আলোচনার উত্তেজনা অর্থনীতিতে, উন্নয়নে কি ভূমিকা রাখছে, আপনি কখনো চিন্তা করেছেন? এই লাইনটা দারুণ লেগেছে।
দারুণ আইডিয়া ।
মামুনুলের হাসি এবার বেড়িয়ে গেছে! হাহাহা
একটা প্রবাদ আছে, শুঁটকির ঘ্রাণ দুর থেকে পাওয়া গেলে ও ঘিয়ের ঘ্রান কাছে এসে নিতে হয়। আমাদের অবস্থাও অনেকটাই এই রকম।
লেখাটা অনেক সুন্দর
I have no idea who is giving the dots in front of the emote, people please
I often hear the opposite opinion, but it was good to look at your point of view
Recently, I was just wondering about an issue that you raised. It’s good that someone else is interested in it.
I would like to add something more, but you must have exhausted the topic, thanks!