ঢাবি প্রতিনিধি : উপাচার্য ফরিদ উদ্দীনের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিশেষ মহল সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরের অপচেষ্টা করছে বলে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সোমবার বিকেলে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমতুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপিত থেকে প্রতীয়মান হয় যে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বাইরে তৃতীয় একটি পক্ষ এই আন্দোলনে ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। একটি বিশেষ মহল এই আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরের অপচেষ্টা করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন”।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, “গত ১৩ জানুয়ারি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের বিভিন্ন ইস্যুতে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন চলাকালে পুলিশের বলপ্রয়োগের মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। উক্ত হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের মূলদাবি পূরণ হওয়া সত্ত্বেও আন্দোলন পরবর্তীতে উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের এই রূপান্তরের বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং উদ্বেগের। যা খতিয়ে দেখার দাবি রাখে”।
“গতকাল আন্দোলনকারীরা হঠাৎ করেই উপাচার্যের বাসার পানি,বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, যা অমানবিক। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে কোন সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই বাঞ্ছনীয়।
“শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই। একই সাথে সরকারকে আহ্বান জানাবো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অবিলম্বে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে। পাশাপাশি পুলিশী হামলায় কারও কোন উদ্ধানী রয়েছে কিনা তাও তদন্তের দাবি জানাচ্ছি”।
ডেল্টামেইল/জেএ
দেশ বিদেশের নিত্য নতুন খবর পেতে দ্য ডেল্টামেইল পড়ুন, শেয়ার করুন