শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

Close

Homeমতামতব্লগআমার দেখা ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’, কি হারিয়ে যাচ্ছে?

আমার দেখা ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’, কি হারিয়ে যাচ্ছে?

প্রতিদিন রাস্তাঘাটে চলাফেরার মাঝে অনেক জায়গায় থামতে হয়, অনেক চা’র দোকানে বসতে হয়। চায়ের দোকানে বসলেই চোখ যায় দোকানে চালু থাকা রঙিন টেলিভিশনের দিকে। চালু থাকা টেলিভিশনের পর্দায় দেখা মেলেনা রাষ্ট্রীয় ‘বিটিভি’ চ্যানেল। চলতে থাকে আর বসে থাকা কাস্টমাররা মনের আনন্দে ডিশএন্টেনার ভারতীয় চ্যানেলগুলো। ওইসব দৃশ্য চোখে পড়লেই মনের টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে ওঠে ছোটবেলায় সাদাকালো টেলিভিশনে দেখা বাংলাদেশ টেলিভিশনের কথা। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন (বিটিভি) যে আমরা সমবয়সীরা কতো আনন্দে উপভোগ করতাম, তা আর লিখে শেষ করতে পারবো না। তবে একটু-আধটু লিখে শেয়ার করা যায়।

সময়টা তখন ১৯৭৪ সাল। আমি চার কেলাসের (ক্লাস ফোর)-এর ছাত্র। তখন আমরা সপরিবারে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানাধীন লক্ষ্মণ খোলা গ্রাম সংলগ্ন আদর্শ কটন মিলের ফ্যামিলি কোয়ার্টারে থাকতাম। সেসময় ঘরে ঘরে এতো টেলিভিশন ছিলো না। যা ছিলো, তা কেবল সেসময়কার কিছুকিছু পয়সাওয়ালাদের বাড়িতেই কাঠের বাক্সের মতো একটা সাদাকালো টেলিভিশন থাকতো।

তখন রঙিন টেলিভিশন ছিলোই না। লক্ষ্মণ খোলা পুরো গ্রামে হয়তো দু’একজনের বাড়িতে টেলিভিশন নামের বাক্সটা ছিলো। আদর্শ কটন মিল অভ্যন্তরে থাকা কোনও ফ্যামিলি বাসায় তো দূরের কথা, মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের ক্লাবেও একটা টেলিভিশন ছিলো না। শীতলক্ষ্যা নদীর এপারওপার দু’পারে দু’টি টেলিভিশন ছিলো। একটা টেলিভিশন ছিলো লক্ষ্মণ খোলা জনতা ক্লাবে, আরেকটা ছিলো নদীর পশ্চিম পারে চিত্তরঞ্জন কটন মিলের শ্রমিকদের ক্লাবে। এই দুইটাও ছিলো সাদাকালো ১৭” ইঞ্চি টেলিভিশন।

সেসময়কার টেলিভিশনের ছোট্ট বাক্সটা বর্তমানে অনেক বড়সড় হয়ে গেছে। বর্তমানে টেলিভিশন প্রায় ৪০” ইঞ্চি। তাও আবার অ্যান্ড্রয়েড। সাথে থাকে ইন্টারনেট সংযোগ সিস্টেম। তাও আবার প্রায় ঘরে, হাটবাজারে, মহল্লার চায়ের দোকান-সহ বড়সড় সব দোকানেই দেখা যায়।

আর আমাদের সময়ে এই ১৪” ইঞ্চি, ১৭” ইঞ্চি সাদাকালো টেলিভিশনই ছিলো মস্তবড় টেলিভিশন। টেলিভিশন দেখার জন্য শীতলক্ষ্যা নদী পাড়ি দিতে হতো। তারপর সেসময়ের রুস্তম পাইন্না রুস্তমদের কতো যে মাইর, গুতা, খেতে হতো, তা আর লিখে শেষ করতে পারছি না। তবুও সেসময়কার কাঠের বাক্সের ভেতরে শাটানো কাঁচের পর্দার সামনাসামনি বসে থাকতে যে কতো ভালো লাগতো, তা একটু-আধটু লিখে স্মৃতি করে রাখছি মাত্র।

ছবি: নিতাই বাবু

বলে রাখা ভালো যে, তখনকার সময়ে ইন্টারনেট আর ওয়াই-ফাই তো দূরের কথা, ডিশ অ্যানটেনা বা ডিশ লাইনও ছিলো না। ১৪” ইঞ্চি বা ১৭” ইঞ্চি টেলিভিশনের সামনে বসে আমরা যা দেখতাম, তা কেবল আমাদের স্বাধীন বাংলার বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত খবর, নাটক, সিনেমা, সিনেমার গান ও দেশীয় নৃত্যানুষ্ঠানগুলোই দেখতাম।

তখন সপ্তাহের ৭ দিনই রাত ৮ টা বাংলা সংবাদের পর কোনো-না-কোনো ইংরেজি সিরিজ শুরু হতো। সেসব বাংলা-ইংরেজি সিরিজের নামগুলো এখনো মনে আছে।যেই সিরিজগুলো দেখানো হতো সেগুলো থেকে কয়েকটা সিরিজের নাম এখানে উল্লেখ করছি। “হাওয়াই ফাইভও”, “টারজান”, “দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়ার্ল্ড ওয়েস্ট”, “সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান”, “বায়োনিক ওমেন”, “নাইট রাইডার”, “স্পেস নাইন্টিন নাইন্টি নাইন”।

বাংলা নাটকের সিরিজগুলো হলো, ‘সংশপ্তক’ এইসব দিনরাত্রি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’। আরও কিছু বাংলা-ইংরেজি সিরিজের নামগুলো এখন আর মনে নেই। তবে কিছুকিছু দৃশ্য এখনো মনের পর্দায় ভেসে ওঠে। এইসব দর্শকপ্রিয় নাটকগুলোর নাম আর কথা মনে পড়লেই এখনো টেলিভিশনের রঙিন পর্দায় ফিরে তাকাই। কিন্তু না, সেরকম মনমাতানো নাটক আর ইংরেজি সিরিজ গুলো দেখা মেলেনা।

আগেকার মতো বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ছায়াছবি, নাটক, ইংরেজি সিরিজ টেলিভিশনের সামনে বসে মনের আনন্দে কেউ উপভোগও করে না। সিনেমা হলে তো যায়ই না। এখন টেলিভিশনে ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে দেখা যায় ডিজে গান, ডিসকো ড্যান্স, গ্রুপ ড্যান্স, অর্ধনগ্ন পোষাকে হৈ-হুল্লোড়। সেগুলোই যোয়ান-বুড়ো সবাই দেখে। কিন্তু ‘বিটিভি’তে সম্প্রচার হওয়া কোনও অনুষ্ঠান কেউ দেখে না।

আগেকার সময়ে কিন্তু ওইসব ভারতীয় চ্যানেল ছিলো না। যা ছিলো, তা কেবল বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়া অনুষ্ঠানগুলোই দেখতো। সেসব সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো ছিলো সর্বজন স্বীকৃত সামাজিকতায় আছন্ন। তাই সপরিবারে একসাথে সিনেমাহলে বসেও সিনেমা দেখতো। আর এখন বাংলা নাটক আর বাংলা সিনেমায় সামাজিকতার কোনও বালাই নেই। তাই আর আগেকার মতো সিনেমাহলে গিয়ে কেউ ভিড় জমায় না। আর বাংলাদেশের বিটিভি দেখার জন্যও কেউ টেলিভিশনের রূপালী পর্দার সামনেবসে না। আমাদের সময়ে আমরা টেলিভিশনের সাদাকালো পর্দার সামনে বসে খুবই ঘটা করে মনের আনন্দে ওইসব বাংলা ইংরেজি সিরিজ ও নাটকগুলো উপভোগ করতাম। সেসব সাপ্তাহিক সিরিজগুলোর সময় থাকতো মাত্র (৩০মিনিট) আধাঘন্টা।

তখনকার সময়ে টেলিভিশনে ইংরেজি ছায়াছবির সিরিজ বা বাংলা নাটক বা বাংলা ছায়াছবি বা ছায়াছবির গান চলাকালীন সময়ে বিজ্ঞানও প্রচার করা হতো। যেমন: স্নো, পাউডার, আলতা-সাবান, চাল-ডাল ও পয়সাওয়ালাদের যাবতীয় প্রসাধনী-সহ স্বর্ণালংকারের গয়না-গাটির বিজ্ঞাপন। সাপ্তাহিক সিরিজ অথবা বাংলা ছায়াছবি চলাকালীন সময়ে ওইসব বিজ্ঞপ্তি তখন খুবই বিরক্তি লাগতো। ওইসব বিজ্ঞাপন দেখতে ভালো লাগতো না। ভালো না লাগলেও, মনের খোরাক ইংরেজি ছায়াছবির সিরিজ অথবা বাংলা ছায়াছবি ও ছায়াছবির গান, নাটক দেখার জন্যই টেলিভিশনের খুব সামনে ধৈর্য ধরে বসে থাকতাম।

তখন প্রতি মাসে একদিন একটি করে পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি সম্প্রচার করা হতো। আর প্রতি সপ্তাহে একদিন সম্প্রচার করা হতো বাংলা ছায়াছবির গান। ইংরেজি ছায়াছবির পাশাপাশি প্রায়শই সম্প্রচার করা হতো নাটক ও নৃত্যানুষ্ঠান। স্কুল থেকে বাসায় ফিরে এসে খাওয়া-দাওয়ার পর আদর্শ কটন মিলের মাঠে খেলাধুলা শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে যেতো। তারপর স্কুলের পড়া বা প্রাইভেট পড়া শেষ করতে করতেই মাথায় ঢুকে যেতো টেলিভিশনের কথা। তখন স্কুলের পড়া কী কী শিখতে হবে, তা মনে না থাকলেও টেলিভিশনে কী কী দেখানো হবে, তা খুবই মনে থাকতো। কোনোদিন রাতের খাবার খেয়েও দৌড় দিতাম, আবার কোনদিন না খেয়েই দৌড় দিতাম। লক্ষ্মণ খোলা জনতা ক্লাবের টেলিভিশনের সামনে যদি বসার জায়গা না পেতাম, তাহলে আমাদের ছুটে যেতাম নদীর পশ্চিম পারের দিকে।

তখন নদী পার হতে জনপ্রতি ৫ পয়সা গুদারা ভাড়া লাগতো। পয়সাগুলো ছিলো পিতলের। যাইহোক, ৫ (পাঁচ) পয়সা তো সাথে থাকতো না। পয়সা না থাকলেও টেলিভিশন দেখা আমাদের মিস হতো না। পয়সা ছাড়াই আমরা কয়েকজন গুদারা নৌকায় উঠে চুপচাপ বসে থাকতাম। নদী পার হবার পর গুদারা নৌকা থেকে যাত্রীরা নামার আগেভাগে আমরা নেমে অন্ধকারে লুকিয়ে থাকতাম। গুদারা নৌকা আবার যাত্রী নিয়ে ওপারের উদ্দেশে রওনা দিলেই, গুদারা ঘাট হয়ে যেতো জনশূন্য। আমরাও যারযার মতো অন্ধকার থেকে আস্তেধীরে গান গাইতে গাইতে সামনের দিকে এগুতে থাকতাম।

যিনি গুদারা ঘাটে বসে গুদারা ভাড়া বা টোল আদায় করতো, তিনি যদি জিজ্ঞেস করতে, “এই গুদারা ভাড়া দিয়ে যা!” আমরা বলতাম, “চাচা, আমরা তো নদীর ওপার থেকে আসিনি। আমরা জেলেপাড়া থেকে নদীর পাড় দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এখানে এসেছি।” তখন যিনি টোল আদায়কারী, তিনি আর কিছুই বলতো না। আমরা মনের আনন্দে গান গাইতে গাইতে চিত্তরঞ্জন মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের ক্লাবের দিকে হাঁটা ধরতাম। ক্লাবের সামনে গিয়ে দেখতাম লোকে লোকারণ্য। যেদিন ক্লাবের ভেতরে তিলধারণের স্থান না থাকতো, সেদিন ক্লাবের দরজা-জানালা দিয়ে উঁকিঝুঁকি মেরে কতক্ষণ দেখতাম। তারপরও মানুষের ঠেলাঠেলিতে দেখতে না পেরে মন খারাপ করেই আবার শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পারের দিকে ছুটতাম।

বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, রামপুরা, ঢাকা

একসময় মিল অভ্যন্তরে থাকা আমাদের সমবয়সীদের এরকম অবস্থা মিলের শ্রমিক নেতাদের নজরে পড়ে। তখন আদর্শ কটন মিলের শ্রমিক-কর্মচারীবৃন্দ একত্রিত হয়ে মিল কর্তৃপক্ষের কাছে দুটো টেলিভিশন কিনে দেওয়ার দাবি জানায়। একটা শ্রমিকদের জন্য, আরেকটা কর্মচারীদের জন্য। শ্রমিক কর্মচারীদের দাবির মুখে মিল ম্যানেজার শ্রমিক কর্মচারীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। একসময় মিল ম্যানেজারের দেওয়া সেই আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়। এরই ফলস্বরূপ: একদিন শ্রমিকদের জন্য একটা ১৭” ইঞ্চি সাদাকালো টেলিভিশন, কর্মচারীদের জন্য একটা ১৭” ইঞ্চি সাদাকালো টেলিভিশন কিনে আনে।

সেই নতুন সাদাকালো ১৭” ইঞ্চি টেলিভিশন একনজর দেখার জন্য মিল অভ্যন্তরে থাকা সব ফ্যামেলি বাসার ছেলে-বুরো, বউ-ঝিঁ , বাচ্চা-কাচ্চা সবাই ছুটে আসে। সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি আমরা যারা টেলিভিশন দেখতে গিয়ে মিলের বাইরে মাইর-গুতা খেয়েছি, তারা। তখন আর আমাদের কোনও টেনশন ছিলো না। আমরা যেখানে বসবাস করি, সেখানেই টেলিভিশন এসে গেছে। বাইরে যেতে হবে না, মাইর-গুতাও খেতে হবে না। মনের আনন্দে নিজেদের জায়গায় বসেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান দেখতে পারবো।

সেই আনন্দের জোয়ারে ভেসে প্রতিদিন বিকেলবেলা সন্ধ্যা হতে-না-হতেই শুরু হতো টেলিভিশনের সামনের জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে ক্লাবের সামনে যেখানে টেলিভিশনের বাক্সটা রাখা হবে, তার সামনে বসার জন্য পিড়ি না হয় ইট রেখে জায়গা দখলে রেখে দিতাম। যাতে সবার আগে টেলিভিশনের সামনাসামনি বসে মনের আনন্দে টেলিভিশন দেখতে পারি। তখন সারাদিন সারারাত বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচার হতো না। বাংলাদেশ টেলিভিশন শুরু হতো, সন্ধ্যা ৬ টায় পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত শুনিয়ে। শেষ হতো রাত ১১.৩০ মিনিটে সংবাদ শিরোনামের পর। রাত ১১.৩০ মিনিটে শুরু হওয়া সংবাদ শিরোনাম শেষ হলেও টেলিভিশনের সামনে বসেই থাকতাম, আরও কিছু দেখার জন্য। কিন্তু তা আর কপালে জুটতো না। টেলিভিশন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা লোকটা যখন টেলিভিশনের সুইস অফ করে দিতো, তখন বসার ইটখানা হেফাজতে রেখে বাসায় ফিরতাম।

যেদিন বাংলা ছায়াছবি দেখানো হতো, সেদিন প্রতিদিনের চেয়ে আরও আগে টেলিভিশনের সামনের জায়গা দখলে নিয়ে রাখতাম। যেদিন কোনও কারণে টেলিভিশনের সামনে জায়গা দখলে নিতে না পারতাম, সেদিন সবার পেছনে যেকোনো গাছের ডালে বসে খুব কষ্টে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রদর্শিত ছায়াছবি দেখতাম। এখন আর বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) দেখা তো দূরের কথা, এই বিটিভি’ নামও কেউ মুখে আনে না। সেকারণেই মনে হয় ধীরে ধীরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি যেন দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দ্য ডেলটা মেইল এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার সার্বজনীন নীতির উপর ভিত্তি করে এ লেখা প্রকাশিত হয়েছে তবে লেখকের মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেলটা মেইল নিবে না।)

আপনার মন্তব্য দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

- Advertisment -
  • সর্বশেষ
  • আলোচিত

সাম্প্রতিক মন্তব্য

স্বঘোষিত মহাপুরুষ on লকডাউন বাড়লো আরও একসপ্তাহ
জান্নাতুল ফেরদৌস on চিরবিদায় কিংবদন্তি কবরীর