জিম্বাবুয়ে থেকে আজ দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল, একই দিন আসছে অস্ট্রেলিয়াও। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাট-বলের লড়াই ছাপিয়ে আলোচনায় সুরক্ষা বলয় ইস্যু। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিসিবি, অজিদের শর্ত মেনে সর্বোচ্চ সতর্ক বোর্ড। কেউ করোনা আক্রান্ত হলেও থামবে না সিরিজ, জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কাতার এয়ারলাইনসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে ডমিঙ্গো শিষ্যদের। ওই দিন বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে টিম অস্ট্রেলিয়া। অজিদের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখে বাংলাদেশ দল সকালে অবতরণ করেই সোজা টিম হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে চলে যাবে।
করোনাকালে প্রথম উইন্ডিজ, পরে শ্রীলঙ্কাকে আতিথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। এবার আসছে অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজের হিসেব আলাদা। জৈব সুরক্ষা বলয়-কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে অজিদের একগাদা শর্ত বিসিবির চ্যালেঞ্জ কঠিন করেছে।
অতিথিদের চাহিদাপত্রে সবার ওপরে হোটেল ব্যবস্থা। দুই দল ও ম্যাচ অফিসিয়ালরা থাকবেন পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। এ সময়ে কোনো অতিথি থাকবে না এখানে। সিরিজে সংশ্লিষ্টরা এরইমধ্যে হোটেলে দশ দিনের কোয়ারেন্টিনে প্রবেশ করেছেন। সুরক্ষা বলয়ের শর্তে খেলতে পারছেন না মুশফিক, শেষ মুহূর্তে ছিটকে গেছেন লিটন।
তোড়জোড়ের শুরুটা অবশ্য বিমান বন্দর থেকেই। বৃহস্পতিবার চার্টার্ড ফলাইটে ঢাকা পৌঁছে থেকে সরাসরি গাড়িতে উঠবে অজিরা। বিমান বন্দরে অতিথিদের জন্য থাকছে বিশেষ ইমিগ্রশন ব্যবস্থা, আলাদাভাবে নেয়া হবে পাসপোর্ট। কাজ শেষে জীবাণুমুক্ত করার তিনদিন পর ফিরিয়ে দেয়া হবে পাসপোর্ট।
বিধি নিষেধের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে ব্রডকাস্টাররা। প্রথা ভেঙে মাঠের ভেতরে ক্যামেরার প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। কোয়ারেন্টিন জটিলতার সিরিজে থাকছে না ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম। প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে আকসুসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের।
প্রায় একই সময় জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফেরা বাংলাদেশ দলও পড়ে যাচ্ছে কোয়ারেন্টিন কড়াকড়িতে। বাংলাদেশে অবস্থান করার ১৩ দিনে, কমপক্ষে সাতবার করোনা পরীক্ষা হবে ক্রিকেটারদের। বলয়ের মাঝে আলাদা বলয় থাকবে মাঠকর্মীদের জন্য। খেলা চলাকালীন বাউন্ডারি লাইনের পাশেও থাকবে না মাঠকর্মীরা।