চীনের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ অলিমিহান সেয়িতি মৃত্যুবরণ করেছেন। সরকারি নথি অনুযায়ী তার জন্ম ১৮৮৬ সালের ২৫ জুন। দেশটির শিনজিয়াং উইঘুর প্রদেশের একটি গ্রামে থাকতেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১৩৫ বছর। খবর বার্তা সংস্থা জিনহুয়ার।
২০১৩ সালে ‘চীন অ্যাসোসিয়েশন অফ গেরেনটোলজি অ্যান্ড জেরিয়াট্রিকস’ চীনের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষদের যে তালিকা প্রকাশিত করেছিলো তাতে দেখা যায় শীর্ষে ছিলেন অলিমিহান। অবশেষে দীর্ঘ জীবন শেষে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন ওই বৃদ্ধা।
তার এই বিরাট আয়ুর রহস্যের বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা জানান, সাধারণ ও সরল জীবনযাপনই এই আশ্চর্যের উৎস। তিনি সর্বদা সময়তো খাবার খেতেন। জীবনকে উপভোগ করতেন। এত বছরেও অসুখ বিসুখ সেভাবে জাঁকিয়ে বসতে পারেনি তার শরীরে। তাঁর দীর্ঘায়ু হওয়ার পিছনে এই অনাড়ম্বর ও আনন্দময় জীবনযাপনকেই প্রধান চাবিকাঠি বলে মনে করছেন তারা।
বলা হয়, কোমবসরিক টাউন অর্থাৎ যেখানে তিনি থাকতেন সেই জায়গার আলো-বাতাসের প্রভাব আছে। ওই শহরটিকে ‘দীর্ঘায়ুদের শহর’ বলেও ডাকা হয়। এখানে ৯০ বছরের অধিক বয়সী অসংখ্য মানুষ বসবাস করেন। যদিও তাদের মধ্যেও নতুন নজির গড়লেন অলিমিহান সেয়িতি। ওই শহরের ষাটোর্ধদের চিকিৎসা তো বটেই, বাৎসরিক শারীরিক পরীক্ষাও করা হয় সরকারিভাবে। সেই সঙ্গে মাসিক ভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধাও দেয়া হয়। ফলে তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্য পান বয়স্ক মানুষেরা।
ডেল্টামেইল/জেএ