জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবে বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষ হচ্ছেন শহরমুখী। ঠাঁই নিচ্ছেন ঢাকাসহ বড় শহরগুলোর বস্তি কিংবা ফুটপাতে। বিশ্বে গেলো বছর নতুন করে উদ্বাস্তু মানুষের এক তৃতীয়াংশ-ই দক্ষিণ এশিয়ার। ১৪৯ দেশ ও ভূখণ্ডের মধ্যে এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।
খুলনার দাকোপ উপজেলার উপকূলীয় গ্রাম কালাবগি। শিবসা নদীর একপাশে সুন্দরবন; অন্যপাশে এ গ্রামের অবস্থান। জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবে নদীর সঙ্গে বিলীন হওয়ার পথে গ্রামটি।
গ্রামের নূর মোহাম্মদের মতো অনেক বাসিন্দা-ই পড়েছেন কয়েকদফা নদী ভাঙনের কবলে। এখন কোনোমতে ঠাঁই ঝুপড়ি ঘরে। হুমকির মুখে শিবসা নদী তীরের এসব বাসিন্দার জীবন-জীবিকা।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় এলাকা এবং দ্বীপগুলোর বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘরবাড়িছাড়া হয়েছেন। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার- আইডিএমসির বৈশ্বিক রিপোর্ট বলছে, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সংঘাতের মুখে ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু অন্তত ৪ কোটি ৫ লাখ। যার মধ্যে ৪৪ লাখই বাংলাদেশে। অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। এদের অনেকেই ঠাঁই নিয়েছেন ঢাকাসহ বড় শহরগুলোর বস্তিতে।
৫ দশক আগে নোয়াখালি ও ভোলা জেলার মানুষজন অভ্যন্তরীণভাবে বাস্ত্যুচ্যুত হতো। এখন খুলনা, সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালী এলাকার লোকজন বেশি গৃহহীন।