রান করছেন কিন্তু কাজে লাগছে না। উইকেট কামড়ে পড়ে থাকছেন কিন্তু তার ছাপ পড়ছে না দলীয় স্কোরে। কাজটা তেড়েফুঁড়ে খেলার হলেও টাইগার ব্যাটসম্যান নাঈম শেখ উল্টোপথের যাত্রী। এমন ব্যাটিংয়েই টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে ধুঁকছে বাংলাদেশ।
নাঈমের ধীর ব্যাটিংয়ে অপচয় হচ্ছে বল, কাজে লাগছে না পাওয়ার প্লে, প্রতিপক্ষকে দেয়া যাচ্ছে না চ্যালেঞ্জ। ম্যাচের প্রথম থেকেই নাঈমের সঙ্গে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ দলও।
যে ফরম্যাটে দরকার খরগোশের দুরন্ত গতি সেখানে কচ্ছপের কায়দায় খেলতে গেলে যে কারও মেজাজ বিগড়াবে। আর এমনই মনে হচ্ছে নাঈম শেখের ব্যাটিং। যতই তার কাছে প্রত্যাশা করা হোক চার-ছক্কা, নাঈম কিন্তু স্লো এন্ড স্টেডি উইন্স দ্য রেসে বিশ্বাসী।
টি-টোয়েন্টিতে তামিমের পর বাংলাদেশের অনেকটা পাকাপোক্ত ওপেনার নাঈম শেখ। টি-টোয়েন্টিটা চার ছক্কার খেলা হলেও নাঈম উল্টোপথের যাত্রী। প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি হোক কিংবা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। বল ঠেকানোতেই তার তৃপ্তি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে আগেই। শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জন্য হলেও একটা জয় দরকার ছিল বাংলাদেশের। তবে নাঈমের ব্যাটে লড়াইয়ের সেই চ্যালেঞ্জটুকুও পাকিস্তানকে দিতে পারে নি টাইগাররা। ৪৭ রান করতে খেললেন ৫০ বল। যার ১৯টাই আবার ডট।
শুধু এই একটা ম্যাচই নয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে গোটা সিরিজে একবারের জন্যও নাঈমের স্ট্রাইকরেট যায়নি শ’য়ের উপর। তিন ম্যাচে রান করেছেন মোটে ৫০।
এবারই প্রথম নয়, বিশ্বকাপেও ধীরস্থির ছিলেন নাঈম। ৭ ম্যাচে কেবল ৩ বারই একশ’র উপর উঠেছিল স্ট্রাইকরেট। এতে পাওয়ার প্লে যেমন কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ, তেমন গোটা টুর্নামেন্টেই ধুকতে হয়েছে রানের জন্য।