হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ মারা গেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দ বাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
রবিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অশীতিপর এই সাহিত্যিক। সেই সময় শহরের একটি হোটেলে আইসোলেশনে থাকার পর তাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়।
৩৩ দিন লড়াইয়ের পর করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন বুদ্ধদেব। তবে এবার আর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা হল না তার।
বুদ্ধদেব গুহ ১৯৩৬ সালে ২৯ জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষায় পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় এই লেখক মূলত বন, অরণ্য এবং প্রকৃতি বিষয়ক লেখার জন্য পরিচিত। তার স্ত্রী প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত গায়িকা ঋতু গুহ। বহু বিচিত্রতায় ভরপুর এবং অভিজ্ঞতাময় তার জীবন। বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবন পরিচালন সমিতির সদস্যও তিনি। ১৯৭৭ সালে বুদ্ধদেব গুহ ‘হলুদ বসন্ত’ উপন্যাসের জন্য আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন।
বুদ্ধদেব গুহ বাংলা সাহিত্যের একজন জনপ্রিয় লেখক। তার লেখায় প্রকৃতি, বন, গাছপালা আর অরণ্যে-বিষয়ক দিকগুলো উঠে আসে।
তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জঙ্গল মহল’-এর পর থেকে ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘অববাহিকা’, ‘বাবলি’— একের পর এক উপন্যাস উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। কিশোর সাহিত্যেও ছিল অবাধ বিচরণ। তার সৃষ্ট ‘ঋজুদা’ বা ‘ঋভু’র মতো চরিত্র আকৃষ্ট করে রেখেছে কয়েক প্রজন্মের বহু কিশোর-কিশোরীর মনকে।