সিলিংফ্যান খুলে পড়ে কপাল ফেটেছে আলোচিত-সমালোচিত সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুরে নিজ বাড়িতে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার দেবাশীষ রাজবংশী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাজবংশী বলেন, ‘সিলিং ফ্যান মাথায় পড়ে মুরাদ হাসানের গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাই। পরে হাসপাতাল থেকে একটি চিকিৎসক দল মুরাদ হাসানের বাড়িতে গিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তার কপালে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।’
তার ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) আবু জাহিম নাইম সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাতে তার নির্বাচনী এলাকার দৌলপুরের বাড়ির একটি কক্ষে এক বৃদ্ধকে চিকিৎসার পরামর্শ দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় সিলিং ফ্যান খসে তার মাথায় পড়ে। সিলিং ফ্যানের আঘাতে তার কপাল ফেটে গেছে। পরে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডাক্তার এসে তার কপালে তিনটি সেলাই দেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ ও শঙ্কামুক্ত আছেন।
উল্লেখ্য গত বছর বিএনপি নেতা তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন মুরাদ হাসান। একই সঙ্গে নারীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক এবং অশালীন বক্তব্য দেন তিনি। নায়িকা মাহিয়া মাহিকে ফোনে ধষর্ণের হুমকি দেয়ার অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি বিতর্ক জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাকে পদত্যাগ করতে হয়। এরপর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরে তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়।